আমার আপুর নাম- মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদাউস আক্তার পারভিন।
আমার দুলাভাইয়ের নাম মোঃ ইব্রাহীম
আমাদের গ্রাম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নে।
দুলাভাইদের গ্রাম- একই জেলার একই থানার চিওড়া ইউনিয়নে।
আমার আপুর বর্তমানে ৩ মেয়ে ১ছেলে, বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে এক বছর গত হল।
ভাগিনা ২০১৪সালে এসএসসি পরিক্ষার্থী, আর এক ভাগনি বর্তমানে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে, আর একজন ছোট বয়স ২বছর।
লক্ষ্যনীয় যে সবার দোয়ায় আমার ভাগিনা ভাগনি সবাই সব শ্রেনীতে A+ প্রাপ্ত।
এবার আসি আসল কথায় :
আমার দুলাভাই আমার আপন খালুর বন্ধু, দুলাভাই তখন সৌদিআরব থাকতো, একদিন আমার আম্মুর নানু মারা গেল সেখানে আমার সবাই গেলাম, সেখানে আমার হবু দুলাভাই এবং খালুও গেল গিয়ে আমার আপুকে দেখে হবু দুলাভাই বলল মেয়েটাকেরে, খালু বলল আমার ভাগনি, তখন দুলাভাই আমার খালুকে বলল আজ থেকে তুই আমার বন্ধু না শশুর, এবং এই কথা বলে আমার ছোট একটা খালাতে বোনকে বউ বলে ১০০টাকা দিল।
খালু বলল কেন?
দুলাভাই : আমি তোর ভাগনিকে বিয়ে করবো।
খালু: আমি আমার ভায়রা কে বলে দেখি কি বলে।
তখন খালু আমার আব্বুকে বিস্তারিত বললো, সব কিছু শুনে আব্বু বলল তুমি যা ভাল মনে কর।
তখন সব কথা পাকা হয়ে গেল যে আগামী শুক্রবার আমার আপুর বিয়ে, সব আয়োজন ঠিক হয়ে গেল, সবাইকে দাওয়াত দেওয়া, গরু কেনা, আস্তে আস্তে মেহমান আসতে শুরু করলো,
হঠাৎ বুধবার রাত ১২টায় খবর আসে আমার হবু দুলাভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না। যত আত্মীয়-স্বজন আছে সবার বাড়িতে খোজ-খবর নেওয়া হলো, কোথাও পাওয়া গেল না, তখন ছিল মাঘ মাস কনকনে শীত, মোবইল ও ছিল না, এদিকে আমাদের বাড়িতে সব আয়োজন সম্পন্ন, আর ঐদিকে দুলাভাইকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই আছে টেনশনে কি যে হবে, আমাদের পরিবারে প্রথম বিয়ে, এদিকে মামারা গোপনে আপুর জন্য অন্য দিকে পাত্র দেখা শুরু করল, এবং এক পর্যায়ে আপুর বিয়ে জন্য একটা পাত্র ঠিক করা হলো যে বর যদি না আসে মামাদের পছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ে হবে। এবং জরিমানা স্বরূপ দুলাভাইদের কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা আদায় করা হবে। তাদের এলাকার তৎকালীন চেয়ারম্যান আবার দুলাভাইয়ের বন্ধু ছিল তাকে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা জনানো হলো। আর এদিকে আমার খালু লজ্জায় কারো সাথে দেখা করা বন্ধ করে দিল এবং তাদের এলাকার সব গন্যমান্য ব্যাক্তিগণ দুলাভাইকে খুজতে বের হলো।
বিয়ে আগের রাত মানে বৃহস্প্রতিবার রাত ১২.৩০টায় আমাদের বাড়িতে খবর এলো দুলাভাইকে পাওয়া গেল, কিন্তু দুলাভাই বললো তার পক্ষে এই বিয়ে করা সম্ভব নয়, সবাই যখন বলল কেন তখন দুলাভাই বলল যে বুধবার সকালে দাড়িঁওয়ালা এক লোক এসে দুলাভাইকে বলল যে তিনি এ যেন এ বিয়ে না করেন, কারণ হিসেবে বললে যে ঐমেয়ের অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে, তুমি যদি তাকে বিয়ে কর তাহলে তোমার লাশ পড়ে যাবে, আমি তাদের এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তোমাকে ঘটনাটা জানিয়ে গেলাম বাকিটা তোমার মর্জি। তখন তার এলাকার চেয়ারম্যান বলল আমি ঐ এলকার সকল মানুষের কাছে খোজ খবর নিয়ে আসছি ঐ মেয়ে এত ভাল তাকে তার নিজের বাড়ির মানুষও ঠিকমত ছিনে না, তুই যদি ঐ মেয়েকে বিয়ে না করিস তা হলে তোকে এই মূহুর্তে ১০লক্ষ টাকা দিতে হবে। তখন এক পর্যায়ে দুলাভাই বিয়েতে রাজি হলো, এবং আমাদের বাড়িতে রাত ২.০০টায় খবর দেওয়া হলো্ বিয়ে হবে। তখন আমাদের বাড়িতে খুশির বন্যা বয়ে গেল, এবং যথারিতি পরের দিন বিয়ে হলো। আজ পর্যন্ত আমার আপুর দুলা-ভাইয়ের সংসার অনেক সুখে শান্তিতে কাটতেছে। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস